এবার বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবার জন্য ফ্যামিলি কার্ড চালু করা হবে জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এই ফ্যামিলি কার্ড প্রতিটি পরিবারের মা কিংবা স্ত্রীর নামে দেওয়া হবে। নারীদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তাদের মধ্যে দেশীয় উৎপাদনশীল পণ্য বিতরণ করা হবে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৬০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে ৪০০ শিক্ষার্থী বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এই কর্মশালায় অংশ নেন।
রাষ্ট্র থেকে যত বেশি সম্ভব সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারলে রাষ্ট্রের সংস্কার কার্যক্রম কাজে আসবে। এছাড়াও ফ্যামিলি কার্ডের মতো কৃষকদের ফার্মার্স কার্ড দেওয়া হবে। এতে প্রকৃত কৃষকদের শনাক্ত করে, তাদেরকে ডাটাবেজের আওতায় আনা হবে।
বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়ানোর ওপর জোর দেবে জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জোর দেওয়া হবে। যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। যাতে শিক্ষার মান বাড়ে এবং শিক্ষার্থীরা সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে প্রাথমিক পর্যায় থেকে ধারণা লাভ করে।
যেভাবেই হোক দুর্নীতি রোধ করতে হবে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, দুর্নীতির কালো থাবা থেকে দেশ ও জনগণকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। অনেক সময় বিদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ভাষার সমস্যা দেখা দেয়। পাঠ্যবইয়ে বাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি তৃতীয় আরেকটি ভাষা অবশ্যই শিখানো হবে। এতে দেশের বাহিরে কর্মসংস্থানে সমস্যা হবে না। শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলা বাধ্যতামূলক করতে হবে। তাদের হাতের লেখা ও আর্টের প্রতি জোর দেওয়া হবে।
প্রতিটি গ্রামে একাধিক পল্লী চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ে জনগণকে সচেতনতা করতে হবে। এরমধ্যে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ নারীদেরকে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ হবে। কর্মসংস্থান বাড়ানো হবে। তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরের রিকশাচালকদের বেসিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। চাঁদাবাজি রোধ করতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পরিবেশ রক্ষায় খাল ও নদী খননের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ৫ বছরে ৫ কোটি গাছ লাগানো হবে। সংস্কার বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ২ বছর আগে ৩১ দফা দিয়েছে। আমরা তখনও জানতাম না স্বৈরাচার কবে বিদায় নেবে, তারপরেও আমরা রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা দিয়েছি। এই দফাগুলো সারা দেশের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাত্তার পাটোয়ারী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল প্রমুখ।